রাকসুর সাবেক এজিএস অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন
প্রতিষ্ঠা করেছেন উত্তরবঙ্গ জাদুঘর
অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র এবং রাকসুর সাবেক এজিএস ও সিনেট সদস্য ছিলেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।তার সাড়া জাগানো গ্রন্থ ‘১৯৭১ ইপিআরের সেইসব যোদ্ধাগণ’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস : রংপুর’। তিনি উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও কুড়িগ্রাম জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।
ইতিমধ্যে কুড়িগ্রামে এম আব্রাহাম লিংকন প্রতিষ্ঠিত ‘উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের’ নিজস্ব ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ইতিহাস ধরে রাখার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে কুড়িগ্রাম শহরের নতুন শহরে ব্যাপারী পাড়ায় আইনজীবী অব্রাহাম লিংকন গড়ে তুলেছে ‘উত্তরবঙ্গ জাদুঘর’ নামের ব্যতিক্রমী এক জাদুঘর। যেখানে ‘বসতির ভিতরে জাদুঘর, জাদুঘরের ভিতরেই বসতি’। যা বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইতোমধ্যে জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা আব্রাহাম লিংকনের বর্তমান বাসভবনের পাশে তারই দেওয়া ২০ শতাংশ জমিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম কিস্তিতে বরাদ্দ পাওয়া দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। কিন্তু নকশা অনুযায়ী ৪ তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ করতে আরও ৭/৮ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। তা না হলে শুধু অবকাঠামো তৈরি হয়ে থাকবে জাদুঘরটির। যার ফলে সেখানে জাদুঘরের সংগৃহীত উপাদানগুলো স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না।
আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন এই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা। ১৪ শতাংশ জমির ওপর নিজের বসবাসের জন্য নির্মিত ‘লিংকনস ইন’ নামের বাড়িতে নিজের সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন মানুষের দেওয়া ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ, বিভিন্ন নিদর্শন নিয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস এবং আঞ্চলিক ঐতিহ্যের সংগ্রহশালা’ হিসেবে তিনি ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন এ প্রতিষ্ঠান। এ কাজে এস এম আব্রাহাম লিংকনকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী অধ্যাপক নাজমুন্নাহার সুইটি। ২০১২ সাল থেকে আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘উত্তরবঙ্গ জাদুঘর’। প্রতি শনিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। তবে আগে থেকে জানিয়ে গেলে সপ্তাহের যেকোনো দিন দেখতে পাওয়া যায় উত্তরবঙ্গ জাদুঘর। দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও এখানেই বসবাস করেন লিংকন-সুইটি দম্পতি।
ধারনা করা হচ্ছে, বিশ্বের ইতিহাসে এটিই একমাত্র জাদুঘর, যেটি একই সঙ্গে সংগ্রহশালা এবং সংসার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু দিনে নয় প্রশাসন ও বাইরে থেকে আসা অতিথিরা রাতে বিরাতেও জাদুঘরটি পরিদর্শনের সুযোগ পান।
জাদুঘরে যা যা আছে
কুড়িগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হলেও উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের উদ্দেশ্য বৃহত্তর উত্তরবঙ্গের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। এ জাদুঘরের সংগ্রহগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর এক ভাগে আছে মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শন এবং অন্য ভাগে আছে স্থানীয় ইতিহাসের বিভিন্ন নিদর্শন। এখানে রয়েছে খেতাবপ্রাপ্ত এবং খেতাবহীন কিছু মুক্তিযোদ্ধার সংক্ষিপ্ত জীবনী, যুদ্ধে ব্যবহৃত গুলি ও গ্রেনেডের বাক্স, যুদ্ধকালীন সময়ে কুড়িগ্রাম-ভারত ব্যাংকিং যোগাযোগের দলিলপত্র ও জ্বালিয়ে দেওয়া ঘরবাড়ির তালিকা। সংরক্ষিত আছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ট্রেনিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ডামি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, পাকিস্তানি বাহিনীর ফেলে যাওয়া হেলমেট, আছে সেই সেলাই মেশিন, যা দিয়ে এই অঞ্চলে স্বাধীন বাংলায় প্রথম পতাকা তৈরি করা হয়েছিল। যুদ্ধ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারগুলোকে দেওয়া আর্থিক সহায়তার প্রমাণপত্র, রৌমারী রণাঙ্গন থেকে প্রকাশিত হাতে লেখা অগ্রদূত পত্রিকার সব সংখ্যা, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর করা উত্তরবঙ্গের শহীদ জায়া ও জননীদের কাছে পাঠানো চেকের ছবি এবং চিঠি, বঙ্গবন্ধুর ঘড়ি-চশমাসহ তার আরও গুরত্বপূর্ণ জিনিস, আঞ্চলিক ইতিহাসের দলিল, কুমিল্লা ময়নামতির গণহত্যার সাক্ষ্য, হাড়গোড়, মানবকঙ্কাল, আত্মসমর্পণ করার অহ্বানের দলিল, পাকিস্তান বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে বিমান থেকে ফেলে দেওয়া জেনারেল মানেকশার আহ্বান সংবলিত লিফলেট, ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রীর তৃণমূল ছাত্রলীগের একজন কর্মীকে লেখা চিঠি, বিভিন্ন শহীদের বস্ত্রাদি ও তাদের ব্যবহৃত অনেক স্মারক, শহীদ মনসুর আলী ও লালমনিরহাট ওসির ব্যবহৃত জিনিস সংরক্ষিত রয়েছে, বিভিন্ন বধ্যভূমির মাটি, বিভিন্ন শহীদের ছবি, আরও আছে রাজাকার বাহিনীতে যোগদানের তারিখ, নাম-ঠিকানাসহ ৫ হাজার ৮৬৫ জন রাজাকারের তালিকা। আছে স্থানীয় রাজাকার-দালালদের স্বহস্তে লেখা ক্ষমা প্রার্থনার পত্র, রাজাকার বাহিনীতে যোগদানের আবেদনপত্র, শান্তি কমিটির সদস্যের তালিকাসহ সভার রেজুলেশন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখলের আবেদনপত্র। রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে পাকিস্তাানি বাহিনীর গঠন করা শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা ও কার্যক্রমের দলিল। এছাড়া রয়েছে বরেণ্য আলোকচিত্রী হারুন হাবীবের তোলা রৌমারী রণাঙ্গনের দুর্লভ কিছু আলোকচিত্র।
এ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের দলিল এবং বিভিন্ন স্মারক ছাড়াও রয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদান। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন বিলুপ্ত ছিটমহল বিষয়ে অনেক উপাদান রয়েছে উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে। এখানে সংরক্ষিত আছে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কফিন, চশমা, ব্যবহৃত সুগন্ধি, কুড়িগ্রামে শায়িত হওয়ার ইচ্ছাপত্রসহ কবির বিভিন্ন ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
নতুন ভবনে যা থাকছে
মূল নকশায় নিচতলায় থাকছে পাঠাগার, স্টোর, অফিস, সেমিনার রুম, ক্যাফেটরিয়া এবং থিয়েটার হল। উপরের ফ্লোরে থাকবে মূল গ্যালারি।
প্রতিষ্ঠিত হলো কীভাবে
আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও উত্তরবঙ্গ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পিছনে রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকনের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার গল্প। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র এবং রাকসুর সাবেক এজিএস ও সিনেট সদস্য এম আব্রাহাম লিংকন ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন ইতিহাস-সচেতন। মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের অংশগ্রহণের কারণে শিক্ষাজীবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিদর্শন সংগ্রহের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। এভাবেই একদিন বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার কাজে হাত দেন এস এম আব্রাহাম লিংকন। একসময় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয় তার বই ‘মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস : রংপুর’। এ বই লেখার জন্যই তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে শুরু করেন উত্তর জনপদের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিলপত্র, স্মারক এবং সাংস্কৃতিক নিদর্শন। ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহের কথা শুনে অনেকেই আগ্রহ করে তাদের কাছে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র লিংকনের সংগ্রহশালায় দান করেন। প্রথম দিকে বসার ঘরে সাজিয়ে রাখা হতো নিদর্শনগুলো। কিন্তু ধীরে ধীরে সংগ্রহ করা নিদর্শন এবং দলিলপত্রের সংখ্যা বেড়ে গেলে এস এম আব্রাহাম লিংকনের স্ত্রী অধ্যাপক নাজমুন্নাহার সুইটি সেগুলো সংরক্ষণ করতে শুরু করেন পুরো বাড়ির বিভিন্ন জায়গায়। এভাবে লিংকনস ইন নামের দোতলা বাড়িটির ওপর এবং নিচতলার মোট সাতটি কক্ষের মধ্যে শয়নকক্ষ বাদে পুরো বাড়ি হয়ে ওঠে এক অভিনব সংগ্রহশালা।
এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, তার একমাত্র সন্তান শাশ্বত গৌরব সিদ্ধার্থ অস্ট্রেলিয়ায় লেখাপড়া করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই নিজেদের কাজের জন্য প্রায় সারা দিন বাড়ির বাইরে থাকেন। ফলে বাড়িটি খালিই থাকে। যেহেতু প্রচুর নিদর্শন সংগ্রহ করা হয়েছে, তাই সেগুলো সাধারণ মানুষের জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় উন্মুক্ত করে রাখায় তাদের কোনো সমস্যা হয় না, বরং এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধ এবং আঞ্চলিক ইতিহাসের বিভিন্ন নিদর্শন দেখার সুযোগ পান। এই দম্পতির অবর্তমানে বাড়িটি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন একজন পুরুষ এবং দুজন নারী কর্মী। এছাড়া তাদের প্রতিবেশীরা বিভিন্নভাবে তাদের সহায়তা করে থাকেন।
এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘এই জাদুঘরে যেমন গবেষকরা আসছেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক নানান ধরনের বিচারের অনুষঙ্গ তদন্তের স্বার্থে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাগণও অনুসন্ধানে আসছেন। আমরা তাদের তথ্য সহায়তা প্রদান করছি সাধ্যমতো।’
গুণীজনদের দর্শন
ইতোমধ্যে সংগ্রহশালাটি ঘুরে দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংষ্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী এবিএম খালিদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার, বীর-প্রতীক তারামন বিবি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, উপাচার্য, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তি, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি ফজলে কবির, চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল, শিক্ষক নাহিদ হাসানসহ অনেকে। কবি সৈয়দ শামসুল হক ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করেছিলেন। জাদুঘরটিতে ইতিহাসের অনেক সাক্ষ্য রয়েছে। যে সাক্ষ্যগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুধু নয়, আমাদের জাতীয় ইতিহাসের জন্য মূল্যবান সম্পদ। এ সম্পদ বিনষ্ট হলে ক্ষতি হবে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের। এসএম আব্রাহাম লিংকন তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করেছেন এসব সংগ্রহের জন্য। সংগ্রহশালাটি উত্তরবঙ্গের হলেও জাতীয় চাহিদা রয়েছে জাদুঘরটিতে।
এ ব্যাপারে জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা আব্রাহাম লিংকন বলেন, এটি আমার অতি কষ্টের ফসল। এটির জন্য উত্তরবঙ্গ জাদুঘর ট্রাস্ট করা হয়েছে। তাই এটি ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক সহযোগিতার প্রয়োজন। কারণ এখানে নিরাপত্তা, কর্মচারী, গবেষকদের থাকার ব্যবস্থা, গবেষণা সরঞ্জামাদি, বিদ্যুৎ বিলসহ নানা ধরনের ব্যয় থাকবে। এছাড়া তার ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় এবং সকল স্কুল কলেজে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য প্রদর্শনী করাতে পারবেন। এখানে সরকারসহ দেশ-বিদেশের সকল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ব্যক্তিদের অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। এর ভিতর দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বরূপ উন্মোচিত হবে এবং মুক্তিযুদ্ধ যে বড় ঘটনা সেটিও এর মাধ্যমে প্রমাণিত হবে।
https://www.jaijaidinbd.com/…/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6…