রবিবার অন্যরকম একটি প্রদর্শনীতে যাবার সুযোগ হল। আমরা যারা ভিনদেশে থাকি, তাদের কার্টুন প্রদর্শনী দেখার সুযোগ তেমন হয় না। বাংলাদেশের এক সময় বিখ্যাত কার্টুনিস্ট টিপু আলমের সৌজন্যে রবিবার সেই সৌভাগ্য হল।
শৈশবে কার্টুন বলতে বুঝতাম- টম এ্যান্ড জেরি কিংবা থান্ডার ক্যাটস জাতীয় কিছু। স্কুল জীবনে বিচিত্রা উল্টে প্রথমেই পড়ে নিতাম রনবী’র লেখা ‘টোকাই’ কার্টুন। অপ্রিয় অনেক সত্যি টোকাইয়ের মুখ থেকে বলাতেন কার্টুনিস্ট। যখন পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করলাম, দৈনিক পত্রিকা হাতে নিয়ে কার্টুনটাই আগে দেখা ও পড়া হত। দেশের শীর্ষ পত্রিকায় দুর্দান্ত সব কার্টুন তখন সবার মুখে মুখে ফিরত।
মানুষের মধ্যে সহনশীলতার অভাবেই কিনা, রাজনৈতিক ও সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে কার্টুন এখন আর আগের মত দেখিনা। এরমধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন কার্টুনিস্ট তাদের সৃজনশীলতার প্রকাশ ও প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে কার্টুনকে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, টিপু আলম তাদের একজন। রবিবার জ্যাকসন হাইটসে তাঁর একক কার্টুন প্রদর্শনীতে গিয়ে ভালো লাগায় মন আচ্ছন্ন হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে আমি যখন ক্রীড়ালোক-রোববার পত্রিকা দিয়ে ক্রীড়া বিষয়ক লেখালেখি শুরু করি, টিপু আলমের সঙ্গে তখন সেখানে পরিচয়। টিপুর স্ত্রী প্রিয়দর্শীনি নুসরাত তন্বী স্নেহের ছোটবোন। যুগপৎ আনন্দ ও মুগ্ধতায় চমৎকার এক সন্ধ্যা কাটল কাল।