স্মারকলিপিতে বলা হয়, সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান চুয়াডাঙ্গায় যোগদানের পর থেকে ধারাবাহিক আর্থিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে জেলার স্বাস্থ্য সেবার সার্বিক অবস্থা খুবই নাজুক। তিনি এ জেলায় যোগদানের পর থেকেই গোটা স্বাস্থ্য বিভাগ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মচারীর সহযোগিতায় লাগামহীন দুর্নীতি করে চলেছেন।
তারা জানান, করোনাকালীন ওষুধপথ্য কেনা, করোনায় দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের অনুকূলে বরাদ্দ প্রণোদনাসহ আর্থিক সুবিধাদীর অর্থ আত্মাসাৎ করেই চলেছেন। কোন কোন চিকিৎসক চাপ সৃষ্টি করে তাদের পাওনা আদায় করলেও বেশিরভাগই নিরবে অত্যাচার সহ্য করেছেন। তিনি কর্মকালীন সময়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাব স্থাপন করার সুযোগ দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণ করেন। সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধপথ্য ও মালামাল কেনা এবং সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
তারা আরও জানান, করোনা শনাক্তের নমুনা পরীক্ষার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে আসছেন। প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক চিকিৎসা সংক্রান্ত মালামাল কেনা এবং সরবরাহের নামে বিলের বিপরীতে হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন। সিভিল সার্জন যোগদানের পর হাসপাতালের জরুরি মেডিকেল অফিসারসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের সমস্যা সমাধানে কোন কাজই করেননি। গোটা হাসপাতাল এলাকা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দালাল ছাড়া সেবা মিলছেনা।
মানববন্ধন কর্মসূচির পর জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের মাধ্যমে স্বাস্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন তারা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন-চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরিব রুহানী মাসুম, চুয়াডাঙ্গা অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি ও দৈনিক সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সহ-সভাপতি শেখ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।