• সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন

নতুন প্রজন্মের ভেতরকার শূন্যতা পূরণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ জরুরি – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

Reporter Name / ৫১ Time View
Update : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১

মশিউর আনন্দ, ঢাকা

 

নতুন প্রজন্মের ভেতরকার শূন্যতা পূরণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
 বিকেলে রাজধানীর ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উন্মুক্ত মঞ্চে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিজয়ের উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। ইনডেপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ইনডেপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি। উৎসবের উদ্বোধক ছিলেন ইনডেপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন,  “যারা দেশের স্বাধীনতা দিয়ে গেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের কথা জানতে হবে। আমি তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিক দল করতে বলি না। কিন্তু এ দেশের একজন মানুষ হিসেবে তাদের বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, তাঁর আত্মজীবনী পড়তে হবে, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস পাঠ করতে হবে। তাহলে তরুণ প্রজন্মের ভেতরে যে অসম্পূর্ণতা আছে, যে শূন্যতা আছে তা পরিপূর্ণ হবে।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আমার একটি স্বপ্ন আছে। আগামীর বাংলাদেশে তাদেরকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে হবে। তাদের হতে হবে আমাদের গর্ব, আমাদের সম্পদ। নতুন প্রজন্ম যেন অন্ধকারের বিলীন না হয়ে যায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে”।
তিনি আরো বলেন, “এ দেশটা ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ কোন কিছুর বিনিময়ে ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তাদের রক্তের বিনিময়ে, তাদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় পতাকা আজ পতপত করে উড়ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই বাংলাদেশ। তিনি পরাধীনতার শৃংঙ্খল ভেঙ্গে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছিলেন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছেন”।
শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, “আজ আমরা এমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছি যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের বিস্ময়কর নেতা মনে করা হয়। বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল। আর রোল মডেল বাংলাদেশের ক্যাপ্টেনকে বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান। সেই ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”।
পরে মন্ত্রী অতিথিদের নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিজয়ের উৎসব উপলক্ষ্যে কেক কাটেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category