জাফর আলম, কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মনখালী সীমানায় সাগরে জলদস্যুরা ফিশিং বোটে হানা দিয়ে ৬ জন মাঝি মাল্লাকে বেদম মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়ে জাল, আহরিত মাছ, ইঞ্জিন লুট করে নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ( ৬ জানুয়ারী) রাত ৯ টার দিকে এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ফিশিং বোট মালিক ও মাঝি মাল্লাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) সকালে টেকনাফ উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার ফরিদের মালিকানাধীন ফিশিং বোট নিয়ে ৬ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরে ঘাটে ফেরাত পথে মনখালী সীমানায় সাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে।
ফিশিং বোট মাঝি মো. বোরহান জানান, সশস্ত্র একদল জলদস্যু মাঝি মাল্লাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেদম মারধর করা হয়। এসময় জলদস্যুরা জাল, আহরিত মাছ,ইঞ্জিন লুট করে ফিশিং বোটটি সাগরে ডুবিয়ে দেয় এবং মাঝি মাল্লাদের সাগরে ফেলে দিয়ে জলদস্যুরা চলে যায়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী এলাকার সাবেক মেম্বার সুলতানের একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা সাগর থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ৬ জন মাঝি মাল্লাকে উদ্ধার করেন।
গুরুতর আহত মাঝি বোরহানসহ মাল্লাদের বাহারছড়া শামলাপুর আইআরসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন ফিশিং বোট মালিক মো. ফরিদ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাগরে জলদস্যুদের উৎপাত উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।
আগেরদিন ৫ জানুয়ারী একই ঘাটের কাইয়ুম বহদ্দার, জাফরসহ তিন ব্যক্তির ফিশিং বোটে একই স্টাইলে জলদস্যুরা হানা দিয়ে মাছ, জাল ও মালামাল লুট করেছে। সাগরে দস্যুতা কাজে এদেশীয় দস্যুদের পাশাপাশি রোহিঙ্গারাও সাগরে দস্যুতায় জড়িয়ে পড়েছে। দফায় দফায় জলদস্যুদের হানায় ফিশিং বোট মালিক ও মাঝি মাল্লারা আতংকের মধ্যে রয়েছে। শামলাপুর নৌকা সমিতির সভাপতি বেলাল উদ্দীন জানান, বলেন সাগরে জলদস্যুতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলে পরিবার গুলো চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। জলদস্যুদের দাপট বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি বলে জানিয়েছেন তিনি।এব্যাপারে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফিশিং বোটে জলদস্যুূের হামলার বিষয়টি শুনেছি।তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইননগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।