মোহাম্মদ আবদুল্লাহ চুয়াডাঙ্গা থেকে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের এক সপ্তাহ পর নারায়গঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে অপহরণকারীকে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
অপহরণের শিকার মাদ্রারাছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আদালত এবং সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে আনিকা তাবাস্সুম দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির ছাত্রী। আনিকার বাবা-মা দুজনই সৌদি প্রবাসী। সে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে তার মামার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে। আনিকা অপহরণের পর তার মামা কৃষ্ণপুরের (মজিদপাড়া) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের মুজিবপাড়ার ১০ শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসাছাত্রী আনিকা তাবাস্সুম (১৫)। সে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে পথে অপহরণের শিকার হয়। এ বিষয়ে তার পরিবার থেকে দর্শনা থানা পুলিশে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ ।
অভিযানের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে আনিকাকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এমন তথ্যে দর্শনা থানা পুলিশ গত রবিবার (২০ ফেব্রয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেখান থেকে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণ মামলার প্রধান আসামি সেলিম হোসেনকে (২৫)। গ্রেপ্তারকৃত সেলিম হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার শান্তিনগর এলাকার জালাল শিকদারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দর্শনা থানার ওসি লুৎফুল কবীর বলেন, “অপহরণের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। আদালতে ছাত্রীর ২২ ধারায় আজ জবানবন্দি রেকর্ড হবে। সেইসঙ্গে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।