মশিউর আনন্দ, ঢাকা:
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, আগারগাঁও, ঢাকায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস -২০২২ এর প্রতিপাদ্য, “টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই অগ্রগণ্য” কে সামনে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকোয়ারি কমিটির খসড়া প্রতিবেদন (ইমেইলে সংযুক্ত) এর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আনিসুল হক, এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সুদীপ্ত মুখার্জী, আবাসিক প্রতিনিধি, ইউএনডিপি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন নাছিমা বেগম, এনডিসি, মাননীয় চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ইনকোয়ারির খসড়া প্রতিবেদনের ধারনাপত্র উপস্থাপন করেন ড আবুল হোসেন, ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, ন্যাশনাল ইনকোয়ারি কমিটি। খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন কমিশনের সদস্য জেসমিন আরা বেগম। অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন রোকেয়া কবির, নির্বাহী পরিচালক, বিএনপিএস, ডা মালেকা বানু, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, তাসলিমা ইয়াসমীন, সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মাননীয় আইন মন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার দিয়েছে। কোন ধর্মই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব নারীপুরুষ উভয়কেই পরিবর্তন করতে হবে। বৈষম্য আর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হলে প্রয়োজন সচেতনতা। এই সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি কমিশনকে আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক আইন করেছি। এগুলোর মনিটরিং প্রয়োজন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করা হয়েছে। তারপরও ধর্ষণ কমেনি। আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ষণ কমবে।
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, একজন নারী সহিংসতার শিকার হলে, ধর্ষণের শিকার হলে এর সীমাহীন প্রভাব রয়েছে। অনাকাঙ্খিত গর্ভপাত, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়। এর পাশাপাশি সাইবার ক্রাইমের বিষয়টি নিয়েও আমাদের ভাবা দরকার।
নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রশমনের জন্য আমরা এই ইনকোয়ারি করছি। ধর্ষককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হলে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ কমে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সকলের পরামর্শ নিয়ে আমরা ন্যাশনাল ইনকোয়ারি কমিটির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারব।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নারীরা চরম বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এই অসমতা দূর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রমের একটি হল ন্যাশনাল ইনকোয়ারি। তিনি আরও বলেন, নারীবান্ধব আইনের ঘাটতি রয়েছে আমাদের দেশে। তবে আশার কথা হল বৈষম্য বিলোপ আইন হতে যাচ্ছে।