• রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে গভীররাতে বনবিভাগের অভিযান:ডাম্পার জব্দ

Reporter Name / ৯০ Time View
Update : শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

জাফর আলম, কক্সবাজার

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিশেষ টহলদলের অভিযানে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের সময় একটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ করেছে। আটক গাড়ির মালিক নবাব মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়া এলাকার মৃত শুক্কুর মেম্বারের ছেলে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের পুর্ব হামজার ডেইলস্থ বামনকাটা পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে উত্তর বনবিভাগের বিশেষ টহল দলের ওসি কামরুল হাসান। পাহাড়ের মাটি পরিবহনে নিয়োজিত মিনি পিক-আপ (ডাম্পার) জব্দ করে নিয়ে যায় উত্তর বনবিভাগ।
বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে পাহাড়ের মাটি কাটছে ডাম্পার গাড়ির মালিক নবাব মিয়া। তাকে সহায়তা করছে জেলফেরত দাগী আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ছৈয়দ হোসেন মাটি। মাটি তার বাহিনীর ১৫/২০ জন সদস্যকে দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাহারা বসিয়ে রাতের গভীরে পাহাড়ের মাটি বিক্রি করছে। মাটি বাহিনী এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে না।

বাহিনী প্রধান মাটিকে আইনের আওতায় আনা না গেলে খুরুশকুলে পাহাড় কাটা বন্ধ হবে না বলে জানান এলাকাবাসী। স্পেশাল টিমের ওসি কামরুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল বনকর্মীদের সহযোগিতায় রাতে পাহাড় কাটার স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে গাড়ির চালক ও মাটির কাটার লেবার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে মাটির কাটার স্থান থেকে ডাম্পার গাড়িটি জব্দ করে বনবিভাগ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।পাহাড়কাটা রোধে প্রাত্যহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বনবিভাগ বনভূমি জবরদখল, অবৈধ কাঠ পাচার এবং পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে স্পেশাল টিম অভিযান পরিচালনা করে মাটি পরিবহনে নিয়োজিত মিনি পিক-আপ (ডাম্পার) গাড়িটি আটক করে। সংশ্লিষ্ট আসামী এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, আটক গাড়ির মালিক নবাবমিয়া খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছের লোক হওয়ায়, এলাকায় প্রভাব কাটিয়ে পাহাড়কাটা অব্যহত রেখেছে। তার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অপরাধে পরিবেশ অধিদপ্তরে ২/৩ টি মামলা রয়েছে। এসব তোয়াক্কা না করে গভীররাতে তার ডাম্পার গাড়ি দিয়ে মাটিকাটা অব্যহত রেখেছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী আরো কয়েকটি অভিযোগ জমা দিয়েছে। গভীর রাতে মাটিকাটে বিধায় আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে, সদরের খুরুশকুলে পাল্লা দিয়ে পাহাড়ের মাটি কাটছে অনেক ডাম্পার মালিক। তাদের মধ্যে রয়েছে কাইছারের ২টি, নবাবের ২টি, নাছিরের ১টি, মনিউল হকের ১টি, রুনুর ১টি, জয়নালের ১টি ও মনজুরের ১টি ডাম্পার গাড়ি। এসব গাড়ির মালিকের যদি আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়, তাহলে খুরুশকুলে পাহাড়কাটা বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবী করেন খুরুশকুলের সচেতনমহল।কক্সবাজার, তাং ১৬ এপ্রিল ২০২২ ইং।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category