নিউইয়র্ক বাংলা ডেস্ক:
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্ভর করে আমাদের কৃষক ভাইদের ওপরে। আপনাদের হাত যত শক্ত করবেন দেশ তত উন্নত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা ছিল কৃষকদের প্রতি খেয়াল রাখা। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য কৃষকদের ভাগ্যউন্নয়নের জন্য কাজ কর যাচ্ছেন।
সদর উপজেলা প্রঙ্গণে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরি-১ ফসলের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে আবাদি জমি কমেছে ১০ শতাংশ। ছোট দেশে অল্প জমি হওয়া সত্বেও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি,কিছু কিছু রপ্তানিও হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞানিদের পরিশ্রমের ফলে।
যাদের সংসারে একাধিক সদস্য বা সন্তান রয়েছে আপনারা একসাথে থাকুন। আলাদা হলে গেলে জমির আকার ছোট হবে বসতবাড়ির জন্য আবাদি জমি কমে যাবে। একটু চিন্তা করেন একসাথে থেকে ভালো থাকবেন সুখী থাকবেন বলেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
বিএনপির শাসনামলে সারের জন্য বগুড়াতে ২০ জন কৃষককে হত্যা করা হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই সারই ইউরিয়া ১৬ টাকায় দিচ্ছে, ভর্তুকি দিচ্ছে ৮২ টাকা,টিএসপি ২২ টাকা,ভর্তুকি দিচ্ছে ৬৫ টাকা, ডিএফপি ১৬ টাকা,ভর্তুকি দিচ্ছে ৮০ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা,ভর্তুকি দিচ্ছে ৫৮ টাকা। একটু চিন্তা করুন কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেই সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ যাতে অভূক্ত না থাকে স্বাবলম্বি হতে পারে তার জন্যই এই প্রচেষ্টা।
আমাদের ২০৩০ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে কৃষি উৎপাদন আরো বাড়িয়ে রপ্তানিতে যেতে হবে,বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে। এর জন্য একখন্ড জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। কেউ যদি আবাদ করতে না চায় কৃষি কর্মকর্তারা বর্গা নিয়ে হলেও আবাদ করতে হবে। কৃষক ভাইদের তিনি প্রতিজ্ঞা করার অনুরোধ জানান কোনো জমি আনাবাদি রাখা যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এর সভাপিতত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্ষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: হারুন আর রশিদ,সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম।স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা হক। এসময় আওয়ামীলীগ ও এর অংগসংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোট ৩৩ শতাংশ জমির জন্য ৬শ ৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন কৃষককে ২০ কেজি টিএসপি,১০ কেজি এমওপি ও ৫ কেজি উফশী আউষ ধানের বীজ দেয়া হয়েছে।