বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা সিলেট এর ঢাকাস্থ অধিবাসীদের প্রাণের সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন। এ সংগঠন শুধু যে সিলেটবাসীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, এটি দেশের সচেতন মানুষের কাছেও বিশেষভাবে আলোচিত, আলোকিত। কারণ সংগঠনটির নেতৃত্বে বরাবরই এমন ব্যক্তিবর্গের সংমিশ্রণ থাকে যারা দেশের জাতীয় ব্যক্তিত্ব। দেশের উল্লেখযোগ্য এই সংগঠনের বার্ষিক নির্বাচনে এবার একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশখ্যাত ব্যাংকার ব্যক্তিত্ব একজন আলোকিত মানুষ সি এম কয়েস সামি। তিনি কথাবার্তা, আচার-আচরণ, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং নেতৃত্বে একজন অতুলনীয় মানুষ। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সামি পরিবারের এই সদস্য একজন নিপাট ভদ্রলোক এবং সমাজকর্মী হিসেবে সম্যক পরিচিত।
এই প্যানেলে বৃহত্তর সিলেটের সকল জেলা থেকেই প্রতিনিধি নিয়ে সাজানো হয়েছে। সি এম কয়েস সামির প্যানেলে সহ সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন তোফায়েল খান (সিলেট), সৈয়দ জগলুল পাশা (জালালাবাদ), ড. সৈয়দ শাহ এমরান (হবিগঞ্জ), ডা. আহমদ পারভেজ জীবন (সুনামগঞ্জ), সহ-সভাপতি (মহিলা) অধ্যাপিকা ফাতেমা চৌধুরী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ চৌধুরী (মৌলভী বাজার)।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিটাক’ এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি একজন সুলেখক। দেশ-বিদেশের ভ্রমণ কাহিনীসহ বৃহত্তর সিলেটের ইতিহাস, ঐতিহ্য চর্চা ও গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত তিনি। কোষাধ্যক্ষ পদে দাঁড়িয়েছেন এসোসিয়েশনের সাবেক সাংগঠনিক ও জনসংযোগ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান। তিনি রোটারী ক্লাব অব ঢাকা ডাউন টাউন-এর সাবেক সভাপতি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-ক পদে দাঁড়িয়েছেন ফাহিমা খানম চৌধুরী মনি। তিনি এসোসিয়েশনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-ক এবং চাকুরিজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-খ পদে দাঁড়িয়েছেন সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, মতিঝিল বিভাগ মোহাম্মদ নুরুল আমীন।
আগামী ২২ জুন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর বেইলী রোডের ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।
সিলেটের আদি নাম ছিল শ্রীহট্ট। পরবর্তীতে হযরত শাহজালাল (র:) এর নামানুসারে এর নাম রাখা হয় জালালাবাদ এসোসিয়েশন। এর প্রতিষ্ঠা ১৯৪৮ সালে।
মূলত জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকাস্থ সিলেটবাসীদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথেই শুধু সম্পৃক্ত নয় এটি বর্তমানে বৃহত্তর সিলেটের সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। এই এসোসিয়েশন সিলেটের বেকার যুবকদের চাকুরি, অসহায় দরিদ্র ছাত্রদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের কাজটি করে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে।
এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সি এম কয়েস সামি একজন প্রথিতযশা ব্যাংকার ব্যক্তিত্ব। ঢাকার সুধীমহলে তার ভাবমূর্তি ব্যাপক। তিনি অভিজাত পরিবারের সন্তান। চাকুরিকালীন সময়ে তিনি সিলেটের অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন, সামাজিক উন্নয়নেও রেখেছেন ব্যাপক ভূমিকা এবং অবদান।
কথা প্রসঙ্গে আত্মপ্রত্যয়ী সমাজসেবক ব্যক্তিত্ব সি এম কয়েস সামি বলেন, আমরা বাংলাদেশের অধিবাসী হলেও আমাদের আরেকটি আইডেন্টিটি হচ্ছে আমরা প্রাচীন সিলেটের ঐতিহ্য ধারণ করি। আমাদের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি কালচার, যে সংস্কৃতি আমাদের প্রাচীন শ্রীহট্টের। আমরা সিলেটিরা নি:স্বার্থভাবে মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, সহমর্মিতা এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ধরি। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে আমরা বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবো।
তিনি আরও বলেন, সিলেট ভৌগোলিকভাবে একটি পর্যটন এরিয়া। কিন্তু সিলেট এবং আশপাশের স্থানগুলো এখনও পর্যটন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এটি শুধু দেশীয়ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এর পর্যটন প্রভাব রয়েছে। এই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যদি পর্যাপ্ত সুবিধা দেয়া যায় তবে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, তারা নেতৃত্ব পেলে এসোসিয়েশনের মাধ্যমে সিলেটের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও পর্যটন উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।