ক
যুবরাজ চৌধুরী
মহামারীতে একটানা ১৮ মাস বন্ধ ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলো। এ সুযোগে কয়েকটি হলের কক্ষে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
তারা ইতোমধ্যে বসবাসও শুরু করেছে। ডিম দিয়েছে বংশ বৃদ্ধির জন্য। নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে হলের কক্ষকেই বেছে নিয়েছে তারা।
প্রায় দেড় বছর পর শনিবার আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কক্ষে এসব পাখি পাওয়া যায়।
লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন তার ৪৩২ নাম্বার কক্ষে প্রবেশ করে একজোড়া ঘুঘু দেখতে পান। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৪১৩ নাম্বার কক্ষে একটি ঘুঘুর বাচ্চা পেয়েছেন আসমাউল হুসনা নামে এক আবাসিক শিক্ষার্থী।
এছাড়া শেখ রাসেল হলের ৫০৯ নাম্বার কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তন্ময় হাফিজ কক্ষে প্রবেশ করেই কবুতরের বাসা দেখতে পান। কক্ষে ঢুকে পাখিদের উপস্থিতি টের পান শিক্ষার্থীরা। তাদের দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পাখিরা উড়াউড়ি শুরু করে।
লালন শাহ হলের ৪৩২ নাম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন জানান, ঘুঘুযুগল কক্ষে রেখে যাওয়া রান্নার হাঁড়িতে বাসা বেঁধেছে। তারা পাখিদের বাসায় দুটি ডিমসহ তা দিতে দেখেন এবং পাখিদের ধরে ফেলেন। তারপর কক্ষের জানালার উপরের দেয়ালে খড়কুটো ও ডিমসহ বসিয়ে দেন।
তৌফিক বলেন, “পাখি পোষা অনেকের কাছে শখের। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় পাখি ধরে খাঁচায় বন্দি করে রাখার অর্থ স্বাধীনতা হরণ করা। সব প্রাণীই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকবে, এটাই প্রত্যাশা।