প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এসব ছবির মূল্য অনেক। ছবিগুলো আসলেই ইউনিক। ছবিগুলো দেখার পর মনে হয়েছে আপনি (শিকদার আহমেদ) পৃথিবীর যেকোনো ফটোগ্রাফারের সমতুল্য। শুধু অভাব হচ্ছে আপনাকে তুলে ধরা। আজ থেকে ইউএস-বাংলায় সব প্রতিষ্ঠানের ক্যালেন্ডার আপনার ছবি দিয়ে করা হবে।’
ইয়াঙ্গুন করপোরেশনে চাকরি করার সময় ছবি তোলা শুরু করেন জানিয়ে শিকদার আহমেদ বলেন, ইয়াঙ্গুনের চেয়ারম্যান অর্ডার শেষ হওয়ার পর বায়ারদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। সে সময় বিশ্বের ১৬০টি গন্তব্যে যেতে হয়েছে। হোটেলে বসে না থেকে ক্যামেরা নিয়ে বের হয়ে পড়তেন। ফটোগ্রাফি ও পাইলট কম্বিনেশনটা কেমন যেন মনে হতো। অনেক সময় ল্যান্ড করার পর সবাই যখন হোটেলে গেছে, তখন তিনি ক্যামেরার ব্যাগ নিয়ে ছবি তোলার জন্য বের হয়েছেন। এমন করে করেই ছবিগুলো তুলেছেন।
এই বৈমানিক বলেন, ‘আমি রং ভালোবাসি, ছবিতেও তার প্রতিফলন আছে। আমি ছবি সম্পাদনা করি না। ফটোগ্রাফি বেশ কষ্টের ব্যাপার। সারা দিন ছবি তুলে, সারা রাত ট্রাভেল করে আবার অফিস করেছি।’
শিকদার আহমেদের প্রতি তরুণদের মধ্যে ফটোগ্রাফির জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান আবদুল্লাহ আল মামুন। গত দুই দশকে বাংলাদেশের ৯০০ জন আলোকচিত্রী আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে ১২০টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ভুটান, নেপাল বাদে দক্ষিণ এশিয়ায় যাদের বেশিসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তার মধ্যে আমাদের এখানে (ফটোগ্রাফি নিয়ে) কোনো ব্যাচেলর ডিগ্রি পড়ানো হয় না। গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে তিন মাসের কোর্স করাতে পারি। আপনার (শিকদার আহমেদ) মধ্যে যে জ্ঞান আছে, সেটা মানুষের মধ্যে দিয়ে দেবেন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিকদার আহমেদের মা হাসিনা শিকদার বলেন, ‘আপনারা আমার ছেলেকে যে সম্মান দিয়েছেন, সে জন্য সকলকে ধন্যবাদ।’
সন্তানদের সঙ্গে এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন শিকদার আহমেদ। গত বছর নিউইয়র্কে এবং গত মাসে নেপালে নিজের ছবির প্রদর্শনী করেছেন বলে জানান তিনি।
দুই দিনের প্রদর্শনীতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে লুবনান। আর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে ‘যুগান্তর’। লুবনান ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হক খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ‘আজকের পত্রিকা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান ছাড়াও শিকদার আহমেদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।