বেলাল আহমেদ
নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির অতি পরিচিত মুখ লায়ন শাহ নেওয়াজ। একজন সফল ব্যবসায়ী, সমাজসেবী, সংস্কৃতিক অনুরাগী, সংগঠন আর পৃষ্ঠপোষক। সবমিলিয়ে তিনি একজন সফল মানুষ, একজন সংস্কৃতিমনা সাদা মনের
মানুষ, কমিউনিটির বন্ধুবৎসল মানুষ। কমিউনিটির যেকোন সভা—সমাবেশ থেকে শুরু করে পথসভা, বনভোজন, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর ধমীর্য় প্রতিষ্ঠান সবখানেই তার পরশ রয়েছে। কোথাও তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন,আবার কোথাও তিনি পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে কমিউনিটিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
জেমিনি’র সাথে আলাপকালে লায়ন শাহ নেওয়াজ বলেন, তিনি খুলনার সন্তান। প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। ছোটবেলা থেকেই সমাজসেবার প্রতি তার অন্যরকম ঝোক ছিলো। সময়—সুযোগ পেলেই স্কুল জীবন থেকে মানুষের সেবার নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছেন। প্রবাসী জীবনের আগে দেশের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে থেকে মানব সেবায় কাজ করেন। সেই আলোকেই প্রবাসেও নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত রাখছেন। নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে নিজের কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি একজন সাদা মনের মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী শাহ নেওয়াজ ইতিমধে ̈ই তার কর্মকান্ড আর পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে কমিউনিটির সমাজসেবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বিজনেস এডমিনিষ্টেশন এ মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী জীবনে আগে তিনি শিক্ষাজীবন শেষে বাংলাদেশ টোবাকো কোম্পানীতে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে কাজ করেন। পরবতীর্তে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্য̈বসায়ী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। ছিলেন ‘নেওয়াজ গ্রুপ’ এর চেয়ারম্যান। এই গ্রুপের অধীনে সুপার মার্কেট, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী, এম্রয়ডারী ফ্যাক্টরী, বায়িং অফিস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন।
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী জীবন শুরুর পর থেকেই তিনি গিফট শপের মধ ̈দিয়ে ব্য̈বসায় আত্ননিয়োগ করেন। পরবতীর্তে তিনি নিউইয়র্কের এনওয়াই ব্রোকারেজ ইনক্ এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও ছাড়াও প্রবাসের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠন/সংগঠনগু
তিনি দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন ধমীর্য় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের নিয়মিত পৃষ্ঠপোষক। প্রবাসের সামাজিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রাখার জন্য শাহ নেওয়াজ ইতিমধ্যেই টিভি মিডিয়া ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান কতৃক অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। যা তার কর্মপ্রেরণাকে আরো উদ্দীপ্ত করেছে।
লায়ন শাহ নেওয়াজ জানান, গোল্ডেন এজ হোমকেয়ার এর ৯টি শাখা। প্রধান অফিস জ্যাকসনহাইটস ছাড়াও জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউ ও জ্যামাইকা এভিনিউ, ওজনপার্কের ব্রুকলীন, ব্রঙ্কসের, ইয়ংকার্
লায়ন শাহ নেওয়াজ সামাজিক কর্মকান্ড ছাড়াও সংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিশেষ করে সঙ্গীত আর খেলাধুলার সাথেও ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। তিনি মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও ইংরেজী ভাষা সহ আরো ৪টি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশী ও সাউথ এশিয়ান কমিউনিটির সাথে মূলধারা অর্থাৎ আমেকিানদের সাথে সেতু বন্ধন রচনায় অব্যাহত ভূমিকা রেখে চলেছেন। এজন্য সপ্তাহের ৭দিনের ২৪ ঘন্টাই তার দুয়ার সবার জন্য খোলা। এছাড়াও লায়ন শাহ নেওয়াজ একজন নিভৃতচারী সমাজসেবী হিসেবে কমিউনিটির উন্নয়নে অবান রেখে চলেছেন। ব্যক্তিগত জীবন ছাড়াও তিনি তার পারিবারিক, ব্যবসা ও সামাজিক জীবনে একজন সফল ও স্বার্থক মানুষ। তিনি ফোবানা কনভেনশন ২০১৯ সালের আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ কালচারাল ফেস্টিভ্যাল নিউইর্য়কের ২০১৯ এর সফল কনভেনর ছিলেন।
লায়ন শাহ নেওয়াজ প্রবাসে বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিগত বছরগুলোতে নিউইয়র্কের ৫ বরোর চার বরোতে অর্থাৎ কুইন্স,
ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস ও ম্যানহাটনের সামার ফেস্টিভ্যাল(পথসভা) আয়োজনের সাথে প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে ব্যবসা- বাণিচজ্যর প্রসার ছাড়াও কমিউনিটির কল্যাণে কাজ করছেন। এসব ফেস্টিভ্যালে ২০ হাজারের মতো অভিবাসীর অংশগ্রহণ লক্ষণীয়।
ব্যক্তিগত জীবনে লায়ন শাহ নেওয়াজ একজন সদালাপী, হাস্যজ্জল ও সুদর্শন মানুষ। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘অ্যামব্রেলা সং