• রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

সিনেমা, সিনেমা.. নাহার তৃনা

Reporter Name / ৯৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

সিনেমা, সিনেমা..
     নাহার তৃনা
স্পেন ১৯৩৬ এর দিকে নিদারুণ স্বৈরতন্ত্রের চক্করে পড়ে। দ্য এন্ডলেস ট্রেঞ্চের প্রেক্ষাপট দক্ষিণ স্পেনের আন্দালুসিয়ার এক তস্য অঞ্চল। গৃহযুদ্ধ আর তার অপরাপর ঘটনার আবর্তে জড়িয়ে পড়া এক নবদম্পতির জীবন বাঁচানোর অভিনব গল্প নিয়ে ‘দ্য এন্ডলেস ট্রেঞ্চ’ তৈরি চলচ্চিত্র।

 

হিজিনিও যে কিনা ওই এলাকার একজন দর্জি এবং টাউন কাউন্সিলর।
স্বৈরশাসকের কোপ থেকে বাঁচতে নিজের বাড়ির গোপন একটা অংশে আত্মরক্ষার জন্য লুকায়। অপেক্ষায় থাকে সুযোগ পেলেই সে রোজাকে নিয়ে নিরাপদ জায়গায় সরে পড়বে। সুযোগটা নাগালে আসতে সময় পেরিয়ে যায়। এদিকে বিরুদ্ধপক্ষ প্রতিবেশি আর সেনা তৎপরতার মুখে বাধ্য হয়ে সেখান থেকে স্ত্রী রোজার সহায়তায় হিজিনিও তার বাবার বাড়ির গোপন একটা অংশে গিয়ে আত্মগোপন করে। কতদিনের জন্য এই আত্মগোপন সেটা হিজিনিওরও জানা ছিল না। গৃহযুদ্ধ পরে বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল শুরু হয়ে যায়। হিজিনিও তখনও লুকিয়ে বাড়ির গোপন খোপে। কতদিন চলেছিল তার নিজভূমে পরবাসী জীবন? যে জীবনে সে লুকিয়ে বাবার মৃত্যু দেখে, স্ত্রী রোজার উপর রক্ষী বাহিনীর সদস্যের ছুকছুকানি দেখে। স্ত্রীর সন্তানসম্ভবার খবর পায়।
দ্য এন্ডলেস ট্রেঞ্চের কাহিনি গড়িয়েছে কিছু সত্যি ঘটনা আর কিছুটা কল্পিত গল্পের উপর ভিত্তি করে । ইতিহাস বলছে, বহু

 

 

স্পেনবাসী, প্রাণভয়ে বছরের পর বছর লুকিয়ে থেকে পার করে দিয়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ ৩০ বছরের বেশি সময় আত্মগোপন করেছিলেন। কেউ কেউ গোপন আস্তানা থেকে ধরা পড়বার চেয়ে মৃত্যুকে শ্রেয় মনে করায় সাথে গুলিভরা বন্দুক রাখতেন। ছোট বড় নানা পুরস্কারের জন্য ৪৪টা মনোনয়ন পেয়েছিল এটা, ২১টা প্রাপ্ত হয়। দমবন্ধ হওয়ার মতো পরিস্হিতি তৈরিতে ‘দ্য এন্ডলেস ট্রেঞ্চ’ শতভাগ সফল। মনেই হয়নি এতে কেউ অভিনয় করেছেন, যে যার দায়িত্বটুকু ১০০% পালন করেছেন মাত্র। স্প্যানিশ নাম ‘লা ট্রেঞ্চেরিয়া ইনফেনিতা’, তিন পরিচালক হলেন: Aitor Arregi, Jon Garaño, Jose Mari Goenaga.
সঙ্গীত বা সুর এমনই এক অপার্থিব জাদুকরী ব্যাপার, যার স্পর্শে আকাশ ফুঁড়ে মেঘ নামানো সম্ভব। জমে থাকা ক্ষোভ কিংবা ভুল বোঝাবুঝিতে পূর্ণচ্ছেদ বসাতে মহা ঔষধের কাজ করে এই জিনিস। তবে এখানে একটা ‘যদি’ আছে- যদি সুরের প্রতি, সঙ্গীতের প্রতি, অতটা ভালোবাসা থাকে তবেই জাদুটা ঘটে যাওয়া সম্ভব। ‘মাই ফাদার্স ভায়োলিন’ সেরকম একটা সিনেমা। ঝাঁকড়াচুলো পিচ্চি মেয়েটির অকালে বাবা হারানোর জন্য যতটা কষ্ট জমা হয়– তার বিখ্যাত ভায়োলিন বাদক চাচার ভুল ভেঙে, ভালোবাসা আদায়ের বাজিমাতে ততটাই আনন্দ পাবেন দর্শক। সিনেমাটা দেখতে দেখতে আমার নিজের চাচার কথা মনে হয়েছে। যাঁকে আমি ছোটকু বলি। আমার পৃথিবীশ্রেষ্ঠ ছোটকুর স্নেহ ভালোবাসার স্মৃতিগুলো জীবন্ত হয়ে কতবার যে পিচ্চি মেয়েটা আর তার চাচার আনন্দঘন মুহূর্তগুলোর সাথে মিলেমিশে গেছে- হাসিতে, কান্নায়। ফিল গুডের চূড়ান্ত মনে হয়েছে আমার মাই ফাদার্স ভায়োলিন’ সিনেমাটা। টার্কিশ এই মুভির পরিচালক Andaç Haznedaroglu.
‘Eeb Allay Ooo’ কী অদ্ভুত নাম রে বাবা! ঠিক এই অনুভূতি নিয়ে সিনেমাটি দেখতে বসা। ঘোর সন্দেহ ছিল খানিকটা দেখেই হয়ত সটকে পড়তে হবে। সেটা হয়নি। কেন, এই সিনেমা দেখলে সেটা বোঝা যাবে। দারুণ এক স্যাটায়ার এটা। এর আগে দেখা ‘Don’t Look Up’ স্যাটায়ার মুভিটির মতো এই মুভিতেও সমাজের রগে রগে এঁটে বসে থাকা কিছু বিষয়-বিশ্বাসের উপর আঙুল তোলা হয়েছে। শেষ দৃশ্যটা মনে বিষাদ ছড়ায়– ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’ কথার কথা হয়ে ভেংচি কাটে হয়ত… পরিচাল প্রতীক ভাটসের( Prateek Vats) এটি প্রথম চলচ্চিত্র।
শ্যাম সিংহ রায়’ সিনেমার পোস্টারে যিশু সেনগুপ্তকে দেখেই আসলে দেখা। যিশুর সুন্দর মুখ দেখার জন্য এখন আর কেউ ওর সিনেমা দেখেন না মনে হয়। দেখেন ওর নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে কতটা এগোলেন তার খতিয়ানে চোখ রাখতে। যেমনটা প্রসেনজিতের ক্ষেত্রেও ঘটে– অন্তত আমার তাই মনে হয়। ঋতুপর্ণ ঘোষ নামের এক পরশ পাথরের ছোঁযা যিশুকে অমূল বদলে দিয়েছে। যাকউগা, এই সিনেমায় যিশুর উপস্হিতি ৩০ মিনিটও নয়। পুরোটা জুড়ে আছেন শ্যাম সিংহ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করা দক্ষিণী নায়ক((Nani)। যার অভিনয় এই প্রথম দেখলাম। যিশু শ্যামের বড় ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। শ্যাম সিংহ রায়ের(Nani) ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ- পছন্দ হুয়া। সিনেমাটা দেখে বেশ একটু হিহিহি করে হেসে নেওয়ার সুযোগ আছে। কেন দেখলে বোঝা যাবে। অন্যের সাহিত্য প্রতিভা বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি গপাং করার কাজে নিযুক্তরা ‘পুণর্জন্ম থিওরি’ কাজে লাগিয়ে কোমর বেঁধে নামবেন কিনা ভাবতে পারেন। এর পরিচালক Rahul Sankrityan..
মিউনিখ দ্য এজ্ অফ দ্য ওয়ার (munich the edge of war): কেম্ব্রিজ পড়ুয়া তিনসহপাঠীকে দিয়ে সিনেমা শুরু। উচ্ছল

প্রাণবন্ত তিন তরুণ প্রাণ। পাঠজীবন শেষে জটিল কর্মজীবনে তারা দুজন নিযুক্ত হয়, তাদের জীবন থেকে সব উচ্ছ্বাসের ভাসন ঘটে। হবে নাই বা কেন- একজন বৃটিশ তদান্তীন প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেনের একান্ত সচিব তো অন্যজন হাড়ে জল্লাদ অ্যাডলফ হিটলারের। বাকি এক সহপাঠী, যার সাথে মিউনিখবাসী ছেলেটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তার পরিণতি কী হয়েছিল? জানতে হলে দেখতে হবে। মিউনিখ চুক্তিতে হিটলার যে ধড়িবাজি করেন সেটা তার একান্ত সচিব পাকেচক্রে জেনে যায়– বন্ধুত্বের খাতিরে নয়– নিজের ব্যক্তিগত আদর্শ আর অবস্হান থেকে সে চেষ্টা করে বন্ধুকে দিয়ে চেম্বারলেনকে বাধা দিতে তিনি যেন চুক্তিতে সই না করেন। বহুদিনের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার গুমর নিয়ে চেম্বারলেন দুই বন্ধুর মতামত তোয়াক্কা করেননি। ‘তুমি আমারত্থে বেশি বুঝোনি মিয়া’র খেসারত যথাসময় দিতে হয় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। আর হিটলার তার আসল চেহারা পৃথিবীকে কীভাবে দেখিয়েছিলেন একথা সবার জানা। অনবদ্য অভিনয়, অনবদ্য পরিচালনা। পরিবেশের ঘনত্ব বুঝে সঙ্গীতায়োজন। রবার্ট হ্যারিসের উপন্যাস ‘মিউনিখ’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন Christian Schwochow.
5
1 Comment
Like

 

Comment


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category