শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করে বিশ্ব তালিকায় কমপক্ষে শততম অবস্থানে পৌঁছার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এটা যদি সম্ভব না হয়- তাহলে অন্তত সত্তর ও আশির দশকে অবস্থানে ফিরে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। আলোচকদের সবার মুখেই কমবেশি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে মৌলিক গবেষণা ও উচ্চতর জ্ঞানচর্চার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করার কথা।
শীর্ষ আলোচকদের মতে, শিক্ষা, গবেষণা ও পরিচালন কার্যক্রমে যখন থেকে মানহীনতার কারণেই আজ বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শততম তালিকায়ও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে হৃত গৌরব আবারও ফিরিয়ে আনা সম্ভব।শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মিলনমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ধরনের বক্তব্যই প্রাধান্য পেয়েছে। যারাই মঞ্চে উঠে কথা বলেছেন কিংবা মঞ্চের বাইরে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন- সবার মুখেই ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করার তাগিদ।
তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য, অতীত ভূমিকা ও অবদানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে অনেকেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তারা বলেন, এক সময়ে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’-এর অবস্থা আজকে এমন কেন! এ অবস্থা আর কতদিন চলবে। সময় এসেছে এখনই হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়ার। এ কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হবে এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনকেই। আলোচকরা আগামী একশ’ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে মাঠে নামার দাবি জানিয়েছেন
এ সময় বাংলাদেশের পথযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি সবার নজর কাড়া বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ থেকে মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে যে শুধু সম্পদ ও পুঁজি চলে যাচ্ছে তা নয়, মানবিক সম্পদও চলে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পরে যে তরুণ শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন তারা অনেকেই বিদেশে চলে গেছেন আর ফেরত আসেননি। মেধাবীরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতে পারেন। দেশে মেধার বিকাশ ঘটানোর পরিবেশ যেন তৈরি হয় সে কাজে মনোযোগী হওয়া এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের একটা বড় কর্তব্য।
তিনি বলেন, আমি নয় বছর ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ ছিলাম। সেই নয় বছর দেশে সামরিক শাসন ছিল। তখনও কিন্তু ছাত্র সংসদ ছিল। তারপর যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এলো তখন থেকে আশ্চর্যের বিষয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন থেমে গেল। ছাত্র সংসদের নির্বাচন ছিল উৎসব। সেখান থেকে মেধাবীরা বেরিয়ে আসত। মেধাহীন ছাত্ররা কখনও নির্বাচিত হতে পারত না। চৌকস ছেলেরা নেতৃত্বে আসত।
শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মাতৃভাষার মাধ্যমে যে অবৈতনিক শিক্ষা চালু করার চেষ্টা করেছিলাম সেটা পারিনি। তার একটি কারণ হলো আমরা বই লিখতে পারিনি। সেই সঙ্গে অনুবাদও করতে পারিনি। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর অনুবাদ করা দরকার। কিন্তু এই কাজটি সবাই করতে পারবে না। এটি একটি সমবায় কাজ। অনেকে মিলে করতে হয় পরামর্শ করতে হয়।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিকতা শিখিয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয় সহমর্মিতা শিখিয়েছে, আর্তমানবতার জন্য কাঁদতে শিখিয়েছে। একাত্তর সালে আমরা দেখেছি এই বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে পাকিস্তানকে তাড়িয়েছিল।
এ সময় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন নয়; গুণগত উৎকর্ষ যেন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থাৎ গবেষণা, প্রকাশনা ও অনুবাদ এই তিনটি কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। কেবল গবেষণা নয়- গবেষণাকে হতে হবে সৃজনশীল, উপকারী। তবে খুব বেশি করে দরকার হচ্ছে অনুবাদ।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর একমাত্র দেশ যা একটি দেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও মানচিত্র পরিবর্তনের ঐতিহাসিক ভূমিকা করেছেন। পৃৃথিবীতে আরও কোথাও এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় খূুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানের ডরমিটরিতে শিক্ষার্থীরা মাসে মাত্র ২৫ টাকায় থাকার সুযোগ পান। কাজেই আজ সময় এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদ-ের পরিমাপ কিভাবে হবে সেটা আগে ঠিক করা। এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দিক থেকেই অনেকের চেয়ে এগিয়ে।
এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মিলনমেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মতিউল ইসলাম। এ সময় এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, এ্যাডভোকেট আবু কাওছার মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায় অতিথিদের স্বাগত জানান। এতে দশ সহস্রাধিক সদস্য অংশ নেয়। এছাড়া বিশ্বের ২৫টি দেশের এ্যালামনাই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছেন। এ উপলক্ষে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মোড়ক উন্মোচন ও ঢাবির ১০০ শিল্পীর ১০০ ছবিতে চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন হয়। এরপর সম্মানিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা শুরু হয়।এতে সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাবির ১০০ গুণীজনকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়। সন্ধ্যায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলে অনেক রাত পর্যন্ত। এতে রবীন্দ্র, নজরুল ও হারানো দিনের গান পরিবেশন করেন শিল্পী অদিতি মহসীন, প্রিয়াঙ্কা গোপ ও হৈমন্তী রক্ষিত। পরে শিল্পী চাঁদনী, সিনথিয়া, মিম চৌধুরী ও তাদের দল ৬০ ও ৭০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের গানে নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া শিল্পী সামিনা চৌধুরী এবং সন্দীপন পরিবেশন করেন আধুনিক ও পুরনো দিনের গান। তাদের পরিবেশনা শেষে রায়বেশে নৃত্য নিয়ে আসেন শিল্পী প্রেমা ও তার দল। ছিল শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের একক সঙ্গীত। পরে গান শোনান বর্তমান প্রজন্মের শিল্পী নিশীতা বড়ুয়া।
এবারের মিলনমেলার প্রতিপাদ্য ‘বাংলাদেশের পথযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই’। ৯ হাজার ৩৩৭ এ্যালামনাই এতে অংশগ্রহণ করার জন্য নিবন্ধিত ছিল। তবে এর বাইরেও বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ছিলেন আরও প্রায় হাজার খানেক। সব মিলিয়ে দশ সহস্রাধিক অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠান ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। দিনের বিভিন্ন সময়ে আলোচনা সভায় বক্তাদের প্রধান ক্ষোভের বিষয় ছিল- শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল সেখানে আসতে না পারা।
এ্যালামনাইয়ের সভাপতির একে আজাদ বলেছেন, ‘বিশ্বের ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে ঢাবি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ র্যাঙ্কিংয়ের ভেতরে আনতেই কাজ শুরু করেছে এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাড়লেও সেগুলোর ধারণক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়েনি। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অর্থাভাবে যথাযথভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন তাদের জন্য কাজ করবে। আমরা বছরে সাড়ে তিন কোটি থেকে চার কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য যে বাজেট প্রয়োজন সে পরিমাণ বাজেট সরকার থেকে আসছে না। আমরা সেখানে অনুদান দিতে চাই।
মিলনমেলা উপলক্ষে কার্জন হলের মূল ভবনের আদলে তৈরি করা মূল ফটকটি সবার নজর কেড়েছে। মিলনমেলা প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি স্থাপন করা হয়। মাঠের পশ্চিম পাশে বিশাল প্যান্ডেলের নিচে মূল অনুষ্ঠানের কার্যক্রম চলে। পূর্ব পাশের প্যান্ডেলে ছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোনায় খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। পুরো অনুষ্ঠান একসঙ্গে উপভোগ করার সুবিধার্থে মাঠজুড়ে এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়। স্থাপন করা হয়েছে ছোট ছোট তাঁবু, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা স্মৃতিচারণ করেন। গল্প আড্ডা, পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন, হাসি তামাশা আনন্দে ফুর্তিতে মাতোয়ারা ছিলেন সবাই। এদিন শতবর্ষী একজন প্রাক্তনীকে হুইল চেয়ারে অংশ নিতে দেখা গেছে। তাকে দেখে সবাই ছুটে গেছেন সেলফি তুলতে। তিনিই ছিলেন মিলনমেলার অন্যতম আকর্ষণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মাঠে আয়োজন করা হয় এই বিশাল মিলনমেলার। মাঠে পর্যাপ্ত ওষুধ, মেডিক্যাল সুযোগ-সুবিধাসহ একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২২ চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা দেন। পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে প্রায় ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক এখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। যানজট এড়াতে ছিল ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি। শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর এলাকায় এ্যালামনাইদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মাঠে প্রবেশ করেন এ্যালামনাই ও অতিথিরা। মিলনমেলা উদ্বোধনের পর শত শিল্পীর লাইভ অর্কেস্ট্রা, সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়। পরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো পাঠ শেষে এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মুনিরা খান উপস্থাপন করেন শোক প্রস্তাব। এর পর শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মোড়ক উন্মোচন ও শিল্পীর রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সমন্বয়ক মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ ও এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।
মিলনমেলার নিরাপত্তাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার বলেছেন, মিলনমেলাকে ঘিরে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্রত্যেক এ্যালামনাইকে স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেয়া হয়। মিলনমেলা স্থলেও পর্যাপ্ত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার প্রদানের সুবিধা ছিল। সকাল-বিকেলে নাস্তা ও মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও রাখা হয়। ছিল দিনভর চা-কফির ব্যবস্থা। এ ছাড়াও অতিথিদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছেন সভাপতি একে আজাদ।
মিলনমেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন ডাকসুর সাবেক জিএস বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি ও অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন- এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রকীবউদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব আশরাফুল হক মুকুল। প্রধান অতিথির ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মতিউল ইসলাম। আরও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, লেখক-রাজনীতিবিদ ইনাম আহমদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হামিদা আখতার বেগম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির, সাবেক এমপি শামসুজ্জামান দুদু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমত উল্লাহ।
## কিছু ছবি তুলেছেন বিশিষ্ট শিল্পী টিপু আলম