বীর মুক্তিযোদ্ধা , গনসংগীত শিল্পী, ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নেতা , মাহবুবুল হায়দার মোহনের প্রয়ান হয়েছেন ২৩ মার্চ ২০১২ সাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তাঁর মৃত্যুকালের সময় হাসপাতালে অনেক বিশিস্টজন উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আসাদুজজামান নুর, ফকির আলমগীর, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও গোলাম কুদ্দুস।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর শ্রদ্ধান্জলীতে অর্ধশত ফুলের তোড়া প্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে তাঁর জানাজার পর কুমিল্লার গ্রামের বাড়ীর কবরস্থানে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। তাঁর প্রয়ান দিবসে দেশে এবং প্রবাসে নিয়মিত স্মৃতিচারন অনুষ্ঠিত হলেও করোনার কারনে গেলো বছর হয়নি। এবারও দেশে ও প্রবাসে তাঁর জন্য দোয়া করা হবে।
তাঁর মরনোত্তর স্বাধীনতা পদকের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন অনেকে, যাঁদের ভেতর অন্যতম কিংবদন্তী শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রয় ও কন্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সকল আন্দোলনে তাঁর ভুমিকা অবিস্মরনীয়। তাঁর গনসংগীত জনগনকে সবসময় উদ্বেলিত করতেন। মাহবুবুল হায়দার মোহনের গানের সিডি ও ভিডিও জনগনের মনে চিরদিন থাকবে। শহীদ মিনারে তাঁর ক্রান্তি শিল্পী গোস্ঠী নিয়ে বছরের পর বছর পরিবেশন করেছেন দেশের গান, জাগরনের গান।