ফাহাদ সোলায়মান
উদ্যোক্তা
ফাউমা ইনোভেটিভ ইনক.
ফাহাদ সোলায়মান একজন কৃতী বাংলাদেশি আমেরিকান, যিনি ব্যবসা-বাণিজ্য অঙ্গনেই শুধু নন, রাজনীতির মূলধারায়ও নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছেন। বয়সে তরুণ এই উদ্যমী এবং আত্মপ্রত্যয়ী মানুষটির জন্ম বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ১৯৮০ সালে। পিতা মরহুম এমএম সোলায়মান আলী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নীলফামারী জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। নীলফামারীর আর্থ- সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে এমএম সোলায়মান আলীদের পরিবারের যথেষ্ট খ্যাতি ও প্রভাব বিদ্যমান। এই পরিবারের সন্তান ফাহাদ সোলায়মান ২০০৮ সালে আমেরিকায় পাড়ি জমান এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেন। নিজের একান্ত শ্রম নিষ্ঠার পাশাপাশি তার স্ত্রী উর্মি রহমানের ভূমিকা তাদের এই ব্যক্তি জীবনের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। উর্মি রহমান কুইন্সের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি এখানকার একটি পাবলিক স্কুলের শিক্ষক। ফলে তাদের পক্ষে Fauma Innovative Consultancy Group প্রতিষ্ঠা করা অনেকটা সহজ হয়েছে। Fauma Innovative নামের এই মার্কেটিং কোম্পানির মাধ্যমে উদ্যোক্তা ফাহাদ সোলায়ামান শুরুতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের দরজায় দরজায় গিয়েছেন। কাজের প্রতি তার আন্তরিকতা এবং পরিশ্রম করার সক্ষমতা তাকে প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ এনে দিয়েছে।
ফাহাদ সোলায়মান এক পর্যায়ে ব্যবসা ক্ষেত্রে বড় সুযোগ লাভ করেন। তিনি All Choice Energy Company’র পার্টনার হয়ে যান। এটি তার ব্যবসায়িক ভাগ্যের দ্বার উন্মোচন করে দেয়। তিনি একটি Staffing Company এবং Social Adult DayCare Centre প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবেই ক্রমাগত উত্তরণের মধ্য দিয়ে উদ্যমী ও প্রতিভাবান মেধাবী তরুণ ফাহাদ সোলায়মান প্রতিষ্ঠা করেন Fauma Innovative Consultancy Group..
তিনি শুধু ব্যবসায়িকভাবেই সুনাম অর্জন করেননি- সমাজসেবী ও দাতা হিসেবে নিউ ইয়র্ক এবং বিভিন্ন দেশে তার পরিচয় সুবিদিত। পারিবারিকভাবেই ফাহাদ সোলায়মানরা বেশ আলোকিত। তার বোন রিচি সোলায়মান স্বনামখ্যাত টিভি অভিনেত্রী- যার স্বামী রাসেক মল্লিক নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগের একজন চৌকস অফিসার। ছোট ভাই ফাহিম সোলায়মান একজন কমার্শিয়াল পাইলট।
স্বপ্নদর্শী ও আত্মপ্রত্যয়ী ফাহাদ সোলায়মান জীবনকে একটু অন্যভাবে চিন্তা করেন। তিনি বলেন, মানুষের জীবন দীর্ঘ নয়। এই অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে সুখ ও শান্তিময় পারিবারিক জীবন। তিনি নিজ পরিবারকে অধিক গুরুত্ব দেন। ফাহাদ সোলায়মান ও উর্মি রহমান- এই সুখী দম্পতির এক পুত্র সাকির সোলায়মানের বয়স ৮ বছর। বাংলাদেশের মূলধারার সংস্কৃতিকে ঘিরেই তারা তাদের সন্তানকে গড়ে তুলছেন। এই দম্পতি বিশ্বাস করেন আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশই তাদের মূল শেকড়সত্তা। নিজেদের সন্তানকে তারা সেই শেকড়সত্তার আলোকেই গড়ে তুলতে চান।
ফাহাদ সোলায়মান বলেন, আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাবাকে নিয়ে- তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিধা করেননি। বাংলাদেশের ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর নিয়ে আমাদের গর্বের সীমা নেই। তিনি কমিউনিটির সবার সাথে উদ্যোগী হয়ে এই দিবসগুলো পালন করেন। দৃঢ়চিত্তে তিনি বিশ্বাস করেন- বাংলাদেশিরা অন্য অনেকের চেয়ে গর্বিত ইতিহাসের মালিক এবং সংগ্রামী একটি জাতি। তিনি বলেন, একটি জাতিরাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য দরকার দেশপ্রেম ও জনকল্যাণে নিবিড়ভাবে কাজ করা।
ফাহাদ সোলায়মান বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশ্নে নিবেদিতপ্রাণ। সময় ও সুযোগ পেলেই তিনি এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতা করেন। ফাহাদ সোলায়মানের রক্তে রাজনৈতিক আবহ যুক্ত হয়ে আছে। তাই তিনি ব্যবসার পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন।
অর্থকণ্ঠ প্রতিবেদক